যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ বিভিন্নস্থানে নদ নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ছড়াচ্ছে পানিবাহিত রোগ। বন্যাদুর্গত অনেক এলাকায় এখনো পৌঁছেনি ত্রাণ সামগ্রী।
এদিকে, জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও এখনো বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। জেলার ৫০টি ইউনিয়নের তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দেওয়ানগঞ্জ এবং সরিষাবাড়ীতে ট্রেন ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার পানিবন্দী ৪ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। লালমনিরহাটে পানিবন্দী রয়েছেন, ৯৫টি গ্রামের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে, শেরপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, মুন্সীগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শনিবার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্কুলগুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।